SLL: 13 প্রশ্ন : চাকুরিতে ছুটির পদ্ধতি সমূহ কি কি?

বাংলাদেশ শ্রম আইন 2006 অনুযায়ী শ্রম আইনের দ্বিতীয় অধ্যায়ে নিয়োগ ও চাকুরীর শর্তাবলী উল্লেখ করা হয়েছে। এই অধ্যায়ে চাকুরিতে ছুটির পদ্ধতি 10 নং ধারায় বর্ণিত শর্তাবলী যথাক্রমে -
(১) কোন শ্রমিক ছুটি নিতে ইচ্ছা করিলে তাহার মালিকের নিকট লিখিতভাবে দরখাস্ত করিতে হইবে এবং ইহাতে তাহার ছুটিতে অবস্থানকালীন ঠিকানা উল্লেখ থাকিবে।
(২) মালিক বা তাহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা অনুরূপ দরখাস্ত প্রাপ্তির সাত দিনের মধ্যে অথবা ছুটি শুরুর হওয়ার দুই দিন পূর্বে, যাহা আগে সংঘটিত হয়, তাহার আদেশ প্রদান করিবেনঃ তবে শর্ত থাকে যে, জরুরী কারণবশতঃ যদি প্রার্থীত ছুটি দরখাস্তের তারিখে অথবা উহার তিন দিনের মধ্যে শুরু করিতে হয়, তাহা হইলে অনুরূপ আদেশ দরখাস্ত প্রাপ্তির দিনেই প্রদান করিতে হইবে।
(৩) যদি প্রার্থীত ছুটি মঞ্জুর করা হয়, তাহা হইলে সংশ্লিষ্ট শ্রমিককে একটি ছুটির পাস দেওয়া হইবে।
(৪) যদি প্রার্থীত ছুটি নামঞ্জুর বা স্থগিত করা হয়, তাহা হইলে নামঞ্জুর বা স্থগিতাদেশের কারণসহ ইহা সংশ্লিষ্ট শ্রমিককে প্রার্থিত ছুটি আরম্ভ হওয়ার তারিখের পূর্বে অবহিত করিতে হইবে এবং এতদ্উদ্দেশ্যে রক্ষিত রেজিস্টারে ইহা লিপিবদ্ধ করিতে হইবে।
(৫) যদি কোন শ্রমিক ছুটিতে যাওয়ার পর ছুটির মেয়াদ বর্ধিত করিতে চাহেন, তাহা হইলে তাহাকে, ছুটি পাওনা থাকিলে, ছুটি শেষ হওয়ার ১[ যুক্তি সংগত সময় পূর্বে রেজিস্ট্রিকৃত ডাকযোগে লিখিতভাবে] মালিকের নিকট দরখাসত্দ করিতে হইবে এবং মালিককে ছুটি বর্ধিতকরণের আবেদন মঞ্জুর বা না মঞ্জুর করিয়া শ্রমিকের ছুটির ঠিকানায় লিখিতভাবে জানাইতে হইবে।

Go to home page